ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইন বাংলাদেশ?
ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইন বাংলাদেশ:সাধারণত অনলাইনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, সেই বিষয়ে অনেকেই জানেনা। তাই আজকে এই পোস্টে কি ভাবে ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইন এ করতে হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুন:বিড়াল আঁচড় দিলে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়?
ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইন বাংলাদেশ
বর্তমান সময়ে অনলাইন মানুষের অনেক কাজকে খুব সহজে হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে, কারণ বর্তমান সময়ে এমন কোন মানুষ নেই যে অনলাইনে কোন না কোনো বিষয় নিয়ে সার্চ করে থাকে। ঠিক তেমনি ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইনে হওয়ার মাধ্যমে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন, কেননা কোনো কারণে যদি আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেটটি হারিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধিত নাম্বারটি দিয়ে সার্চ করলে সেটি খুঁজে পাওয়া যাবে এবং পুনরায় তা ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায়
বর্তমান সময়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট খুবই প্রয়োজন কারণ, এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দরকার হয়ে পড়ে। তাই অনেকেই চেষ্টা করেন সামাজিক বিয়ের আগেই রেজিস্ট্রি সেরে রাখতে। তবে রেজিস্ট্রেশন আগে হোক বা পর হোক যদি এটি অনলাইন সার্টিফিকেট হয়ে থাকে তাহলে হাতে পেতে বেশ বেক পেতে হয়। বর্তমানে এটি করতে এদিক-সেদিক দৌড়াতে হবে না, আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন মাধ্যমে একটি অনলাইনে সেরে ফেলতে পারবেন।
১)প্রথমে এই সাইটটে https://serviceonline.gov.in/প্রবেশ করতে হবে।
২)তারপর ম্যারেজ অপশনটি বেছে নিতে হবে।
৩)এরপর রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনাদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে।
৪)এরপর যে নাম্বারটা দিয়ে নিবন্ধিত ফর্মটি ফিলাপ করেছেন, ওই নাম্বারটিতে একটি কোড আসবে।
৫)তারপর ওই সিমটিতে যে কোডটি আসবে, ওই কোডটি দিয়ে আপনাদেরকে লগইন করতে হবে।
৬)এরপর রেজিস্ট্রেশন ফরমটি আপনাদের মাঝে ওপেন হবে, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছবি ও সাক্ষর আপলোড করে সংযুক্ত বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
৭)তারপর আপনার ফরমটি কোন অফিসে পাঠাবেন সেটি সিলেক্ট করে, এরপর প্রেরণ বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার আবেদন ফরমটি সফলভাবে প্রেরণ করা হলে এর পরই এমন একটি লেখা দেখতে পারবেন আপনার আবেদন ফরম প্রেরণ করা হয়েছে বা সাবমিট করা হয়েছে।
৮)অনলাইনে ম্যারেজ সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে ৩০০ টাকা কাট ফ্রি দিতে হবে, এটি যে কোন মোবাইল বা ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
বাংলাদেশে কিভাবে বিয়ের সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে হয়
বিয়ের সার্টিফিকেট সব চাইতে করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় নি যেটা আলোচনা করা হলো:
১)নিকটস্থ নোটারি অফিসে যান:প্রথমত বিয়ে সার্টিফিকেটের সত্যায়িত করার জন্য আপনাকে নিকটস্থ নোটারি অফিসে যেতে হবে।
২)প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিন: নোটারি অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্য আপনাকে যে সকল ডকুমেন্ট সঙ্গে নিতে হবে সেগুলো হলো. পাসপোর্ট সাইজের ফটো, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, এবং বিয়ের যাবতীয় সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে।
৩)প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :বিয়ের সার্টিফিকেটের মূল কপির অনুলিপি,বিয়ের সার্টিফিকেটের অক্ষরিত কপি,আপনার ও স্বামী/স্ত্রীর নিকাহনামা কপি,আপনার ও স্বামী/স্ত্রীর পাসপোর্টের কপিইত্যাদি সঙ্গে নিতে হবে।
৪)সত্যায়িত করার জন্য আবেদন:নোটারি অফিসে পৌঁছানোর পর আপনাকে সত্যায়িত জন্য আবেদন করতে হবে, আবেদনপত্রের মধ্যে অবশ্যই আপনার বা স্বামী / স্ত্রী ব্যক্তির তথ্য এবং বিয়ের তারিখ, বিয়ের স্থান ইত্যাদি উল্লেখ্য করতে হবে।
৫)সত্যায়িত করার জন্য ফি:নোটারি অফিসের আবেদন ফ্রি একটি নির্দিষ্ট ফ্রি রয়েছে যেটি আপনাকে প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশে বিয়ের সার্টিফিকেট পেতে কতদিন সময় লাগে
সাধারণত বিয়ের সময় বর ও কনেকে একটি বিবাহ সম্পাদনকৃত একটি রিসিভ প্রদান করা হয়, যাতে লেখা থাকে রেজিস্ট্রেশনের বইয়ের পৃষ্ঠা, এবং ভলিউম নম্বর দেওয়া থাকে এছাড়াও বিবাহের তারিখ কাগজে লেখা থাকে। বিয়ের কাবিন সাধারণত বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে কাজী অফিস থেকে উঠানো যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিয়ের কাবিন তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে সত্য সাপেক্ষে কাজী অফিস থেকে এটি উঠানো যায়।
কাবিন নাম উঠানোর খরচ বা ফ্রি
মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফ্রি সরকার নির্ধারিত কিছু ফি রয়েছে, নিচে তা আলোচনা করা হলো:
যদি কোন বিয়ের কাবিন দ্বারা হয় ৪ লক্ষ টাকা সে ক্ষেত্রে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফ্রি পড়বে লাখে ১২৫০ টাকা করে এবং ৪ লক্ষ টাকার উপরে হলে আর ১০০ টাকা করে বাড়বে। তা ছাড়ো অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন কাজী অফিসে কাজীদের বিয়ের ধরন অনুযায়ী উনারা টাকা বেশি নিয়ে থাকেন। যেমন ধরেন আপনার বিয়ের কাবিন করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা, সে ক্ষেত্রে আপনার 5 লক্ষ টাকায় কাবিনের পড়বে লাখে ১২৫০ টাকা করে সর্বমোট ৫000 টাকা।
পোষ্টটেগ :ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইন বাংলাদেশ,ম্যারেজ সার্টিফিকেট ডাউনলোড,ম্যারেজ সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যায় বাংলাদেশ,হিন্দু ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশ,কোর্ট ম্যারেজ সার্টিফিকেট,বাংলাদেশে কিভাবে বিয়ের সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে হয়,বাংলাদেশে বিয়ের সার্টিফিকেট পেতে কতদিন সময় লাগে,
উপসংহার :ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনলাইনে কিভাবে করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই পোস্টে মধ্যে আমি তুলে ধরেছি। আমি আশা করি এই পোষ্টের মধ্যে পেয়ে যাবেন, যদি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।