মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়?

 মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়: মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়, সে বিষয়ে আমরা  অনেকেই  জানিনা। তাই আজকের আমরা জানবো কোন সময় এই ফুল খেলে বাচ্চা হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিচে তুলে ধরা হলো। 


মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়


                    মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়


মরিয়মপুর এটি দেখতে খুব সুন্দর, অনেকটাই বটো বৃক্ষের মত শিকড় আকৃতির। তবে এই ফুলের বর্তমানে অনেক চাহিদা রয়েছ এটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো আনস্ট্যাটিকা হাইরোচুন টিকা।  এছাড়াও এর বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন: গোলাপ, কেরামতের ফুল, জেরিকো ফুল,  পুনরুত্থান উদ্ভিদ ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই ফুল  সাধারণত মরু  অঞ্চলে জর্ম্মে থাকে, যখনই বৃষ্টি হয় শুধুমাত্র তখনই মরিয়ম ফুলের প্রাণ ফিরে আসে এবং সেটির তাজা হয়। বৃষ্টি হওয়ার পর যখন এটি তার প্রাণ ফিরে পায় তখন এটি বংশবিস্তার করতে থাকে। বর্তমানে মরিয়ম ফুল খেলে বাচ্চা হয় এই বিষয়টি নিয়ে প্রচুর ভ্রান্ত ধারণা মানুষের মধ্যে রয়েছে, যে এখনো আমাদের শহর ও গ্রাম অঞ্চলে অধিক পরিমাণে মানুষ এ বিষয়টি নিয়ে খুবই সিরিয়াস তারা মনে করে যে এই মরিয়ম ফুল খেলে মেয়েরা গর্ভধারণ করে।  এ কথা একেবারেই ভুল কেননা এই ফুলের অনেকগুলো উপকারিতা হয়েছে এ কথা সত্য এটা প্রবিত্র কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। তবে এই ফুল খেলে যে মেয়েরা গর্ভে বাচ্চা ধারণ করবে সে বিষয়ে পবিত্র কুরআনে অনেকগুলো হাদিস এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।  তাই আপনি যদি আল্লাহর উপরে বিশ্বাস রেখে কোরআন হাদিস মেনে যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন, যারা অবশ্যই আল্লাহ চাইলে যে কোনো বন্ধা নারীকে বাচ্চা নিতে সক্ষম তবে কেবলমাত্র আপনি আল্লাহর বিশ্বাস ছাড়া এইটা সম্ভব না। 



                                 মরিয়ম ফুলের উপকারিতা


প্রাচীনকাল থেকে মরিয়মপুরে ফুল দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি কাজ করে আসছে, বর্তমানেও এই ফুলের বেশ প্রচলন রয়েছে এই ফুলের অনেকগুলো ঔষুধী গুন রয়েছে নিচে তা  আলোচনা করা হয়েছে। 

#মরিয়ম ফুল  লিভার  সংক্রান্ত সকল ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে থাকে, এবং সরিল এর রোগ  প্রতিরোদ  ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

# যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে এই মরিয়ম ফুল। 

#মরিয়ম ফুলে পটাশিয়াম এর প্রচুর ভরপুর  রয়েছে যা শরীরের ভারসাম্যকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।

#যাদের জিংকের ঘাটতি রয়েছে, তারা চাইলে মরিয়ম ফুল খেতে পারেন কারণ এটি জিংক এর  ঘাটতি অনেতাই পূরণ করে থাকে।   এছাড়া ও ঠান্ডা এবং সর্দি জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই মরিয়ম ফুল। 

#মরিয়ম ফুল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেস্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে, কেননা এটিকে শরীরে গ্লোকোজ এর  মাত্রা কমিয়ে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। 

#এছাড়াও মরিয়ম ফুলে প্রচুর  পরিমান ক্যালসিয়াম ও মিনারেল রয়েছে, যা শরীরের হাড় এবং দাঁতের ক্ষয় রোধে করে এবং রক্ত জমাট বাঁধা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। 


মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়



                                          মরিয়ম ফুলের ক্ষতিকর দিক

সাধারণত  যে সকল গর্ভবতী মহিলার রয়েছে এবং স্তন্যদানকারী মহিলা রয়েছেন তারা এটা খাওয়া  থেকে বিরত থাকবেন এবং যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ফুল খাবেন না, এই ফুল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ও এলার্জির জনিত সমস্যা হতে পারে।  তাই অবশ্যই এগুলো খাওয়া আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। 





                      গর্ব অবস্থায় মরিয়ম ফুল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে


সাধারণত গর্ব অবস্থায় মরিয়ম ফুল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে বিষয়ে বহু কুসংস্কার রয়েছে, যা এখনো প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়।  তবে কারো কারো মতে প্রসবকালীন সময় মরিয়ম ফুল পানিতে ডুবিয়ে রাখলে, ফুলটি যখন প্রসারিত হয় তখন ওই অবস্থায় গর্ভবতী মাকে ওই পানি পান করলে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তান সহজে ডেলিভারি হয়ে থাকে। অর্থাৎ খুব সহজেই বাচ্চা নরমালে ডেলিভারি হয়ে থাকে, এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক  কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও  ইসলাম এর বিশেষসঙ্গ গণ এই  বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি,তাই এই কথা পুরাটাই ভিত্তিহীন। 





                                          এই ফুল কিভাবে খেতে হয়


সাধারণত এতক্ষণ ধরে আমরা মরিয়ম ফুলের  বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম, কিন্তু এটি কিভাবে খেতে হয় সে বিষয়ে জানা হলো না চলুন জেনে নেয়া যাক।  সাধারণত  রাতের বেলায় মরিয়ম ফুলের কয়েকটি পাপড়ি উষ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে তারপর পরের দিন সকাল বেলায় পানি থেকে ফুলের পাপড়ি ভালো করে ছেঁকে  নিতে হবে এবং ওই পানি  পান করলে উপকার পাওয়া যায়। অনেকই আবার এটিকে মধু দিয়ে খেয়ে থাকেন,কারণ মধুতে প্রচুর পরিমান এনার্জি রয়েছে যা শরীল কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে। মধু ও মরিয়ম ফুলের মিক্স করে খেলে আপনার শরীলে বহুদিন ধরে জমে থাকা রোগ দূর হয়ে যাবে।


মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়



                                  মরিয়ম ফুল নিয়ে ইসলাম কি বলে

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, ইসলামী সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে দিয়ে দিয়েছেন।  তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা বিভিন্ন ধরনের মরিয়ম ফুল নিয়ে বিভ্রান্ত মূলক  কাজ করে থাকে, যা  কখনো ইসলাম সমর্থন করেনা।  অনেকেই এই ইসলামের ব্যাবহার করে মরিয়ম ফুলের  উপকারিতা মানুষের মধ্যে তুলে ধরে, যা কোরআনের সঙ্গে কোনো  মিল পাওয়া যায় না। এমনকি অনেকে আছেন যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নামে মিথ্যা কথা রচিয়ে বলে থাকেন যে, এমনকি তারা এটাও বলে থাকেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসাল্লাম  মরিয়ম ফুল কে আরোগ্য লাভের মাধ্যম বলেছেন।  মানুষকে তার পণ্য বিক্রি করার জন্য মানুষকে ধোঁকা দিয়ে থাকেন। এই ধরনের কথাবার্তা বলার মাধ্যমে তারা ইসলামকে সবার মাঝেও প্রতিপন্ন করে থাকে তাই আমরা সকলেই এই সকল অশালী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করবেন, কোনো না এতে করে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। 



                                        মরিয়ম ফুলের পানি খেলে কি হয়

মরিয়ম ফুলের পানি খেলে বিভিন্ন রকমের উপকার পাওয়া যায়, এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,জিংক, সমৃদ্ধ যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। যেমন হাড়ের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা,হাটের সমস্যা,গ্যাস্টিক এর সমস্যা,আলচার এর সমস্যা এ ছাড়াও আরো অনেক ঔষুধী গুন্ রয়েছে এই মরিয়ম ফুলে। তবে আপনি যদি কোন মহিলা গর্ভবতীকালীন সময় এই  মরিয়ম ফুলের পানি আল্লাহর নামে যদি মহিলাকে খাওয়াতে পারেন, তাহলে আল্লাহর দয়ায় সহজে ব্যথা মুক্ত ডেলিভারি হয়ে থাকে যা মহান আল্লাহর  কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে সম্ভভব। 




                                          মরিয়মপুর কোথায় পাওয়া যায়

মরিয়ম ফুল সাধারণত মরু  অঞ্চলগুলোতে বেশি জমে থাকে, বিশেষ করে মধ্যে পাচ্ছে দেশগুলোতে যেমন সৌদি আরব,ওমান,দুবাই,ও সাহারা মরুভূমি অঞ্চল পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোতে অনেক বাংলাদেশি জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।  তারা  অনেকে  দেশে আসার সময় এই ফুল এর বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন, এবং তাদের বাড়ির আঙিনায় বা উঠানে এই ফুলের চাষ করে থাকে।  এছাড়াও প্রতিবছর অনেক হাজী হজ করতে গিয়ে হজ শেষ করে ফেরার সময় এই ফুল সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। 




প্রশ্ন উত্তর পর্ব :মরিয়ম ফুল  কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়, সে বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর  নিছে তুলে ধরা হলো :

১)মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়?

উত্তর : না ,তবে যখন আমি গর্ভবতী মায়ের ডেলিভারির সময় যদি মরিয়ম ফুলের পানি খাওয়াতে পারে সে ক্ষেত্রে ডেলিভারি অনেকটাই সহজ হয়। 

২)এই ফুল কিভাবে খেতে হয়?

উত্তর : সাধারণত  রাতের বেলায় মরিয়ম ফুলের কয়েকটি পাপড়ি উষ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে তারপর পরের দিন সকাল বেলায় পানি থেকে ফুলের পাপড়ি ভালো করে ছেঁকে  নিতে হবে এবং ওই পানি  পান করলে উপকার পাওয়া যায়। 

৩)গর্ব অবস্থায় মরিয়ম ফুল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?

উত্তর :প্রসবকালীন সময় মরিয়ম ফুল পানিতে ডুবিয়ে রাখলে, ফুলটি যখন প্রসারিত হয় তখন ওই অবস্থায় গর্ভবতী মাকে ওই পানি পান করলে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তান সহজে ডেলিভারি হয়ে থাকে। 

৪) মরিয়ম  ফুলের পানি খেলে কি হয়?

উত্তর :মরিয়ম ফুলের পানি খেলে বিভিন্ন রকমের উপকার পাওয়া যায়, এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,জিংক, সমৃদ্ধ যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। যেমন হাড়ের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা,হাটের সমস্যা,গ্যাস্টিক এর সমস্যা,আ,লচার এর সমস্যা এ ছাড়াও আরো অনেক ঔষুধী গুন্ রয়েছে এই মরিয়ম ফুলে। 

৫)মরিয়ম ফুল নিয়ে ইসলাম কি বলে ?

উত্তর :ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, ইসলামী সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে দিয়ে দিয়েছেন।  তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা বিভিন্ন ধরনের মরিয়ম ফুল নিয়ে বিভ্রান্ত মূলক  কাজ করে থাকে, যা  কখনো ইসলাম সমর্থন করেনা।



পোষ্ট টেগ :মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়,মরিয়ম ফুল খাওয়ার নিয়ম,মরিয়ম ফুলের উপকারিতা,মরিয়ম ফুলের উপকারিতা,মরিয়ম ফুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়,গর্ভাবস্থায় মরিয়ম ফুলের ব্যবহার,মরিয়ম ফুলের পানি খেলে কি হয়,মরিয়ম ফুলের পানি খাওয়ার নিয়ম,



উপসংহার :মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়,সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই পোষ্টের  মধ্যে আমি তুলে ধরেছি।  আমি আশা করি আপনাদের  প্রয়োজনীয়  প্রশ্নের উত্তর আজকের এই পোষ্টের  মধ্যে পেয়ে যাবেন, যদি আমাদের পোস্টটি আপনাদের  ভালো লেগে থাকে তাহলে  অবশ্যই লাইক, কমেন্ট,ও শেয়ার   করতে ভুলবেন না। 


                                


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url