পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয়?
পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয়:অধিকাংশ সময় দেখা যায় পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে, কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কি কারণে এবং কেন প্রসাব এর রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয় তাই আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো কি কারণে পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া হয়।
পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয়
পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা প্রসাবে জ্বালাপোড়া দুটি সমান কথা, সাধারণত যারা কম পানি পান করে তারা এই সমস্যা হয় বেশিরভাগ বুগে থাকে। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া প্রস্রাবের রাস্তার ব্যাথার র মতো সমস্যা দেখা যায়। তবে এটি কোন রোগ নয়,এটি একটি উপসর্গ, এটি নারী পুরুষ উভয় এর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে পারে তবে পুরুষের চাইতে নারীদের তুলনামূলোক ভাবে একটু বেশি হয়। সাধারণত মূত্রথলি বা ব্লাডের প্রস্রাব জমে থাকলে প্রসাব এর জীবানু অনেক গুণ বেড়ে যায়, বিশেষ করে বয়স্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা মূত্রথলি নিচের দিকে পাথর বা টিউমার জাতীয় কোন ধরনের বাধার কারণে অনেক সময় প্রসারে ইনফেকশন দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে কোনো কারণে প্রস্রাবের জন্য নল বা ক্যাথেটার করা থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কারণ
পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে,তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন।তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কারণ নিচে তুলে ধরা হয়:
** মূত্রনালীর সংক্রমণ:মূত্রনালী সংক্রমনের অন্যতম কারণ হলো ইউ টি আই ,এবং এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটে থাকে। এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে হল প্রসাবের জ্বালাপোড়া, বারবার প্রসব হওয়া, অল্প পরিমাণে প্রসব করা, তলপেটে ব্যথাসহ, নানা ধরনের সমস্যা লক্ষণ দেখা যায়।
**সেলিবাইটিস: সাধারণত এটি হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা পুরুষ প্রজন্মের ব্যবস্থা একটি বাদাম আকারে গ্রন্থির প্রদাহ যা মূত্রনালীর নিচের দিকে অবস্থিত এবং এটি প্রত্যেক গ্রন্থির এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রম এর অন্যান্য কারণেও হতে পারে। আর অন্যতম লক্ষণ গুলো হলো প্রসাবের জ্বালাপোড়া, অধিক পরিমাণে প্রস্তাব করা সমস্যা দেখা দেয়।
**স্টেরাইলাইজড:বিশেষ করে স্টেরাইলাইজড হলো মূত্রনালী প্রধাহ ও এছাড়া এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যৌন সংক্রমণ ইত্যাদি সংগতিত কারণেও হতে পারে। এটার অন্যতম লক্ষণ হল, তলপেটে ব্যথা করা, অল্প পরিমাণে প্রসাব করা, ও প্রসাবের রক্ত আশা ইত্যাদি।
**ইউরেথ্রাইটিস: ইউরেথ্রাইটিস এটি মূলত মূত্রনালির প্রবাহের অন্যতম একটি সংক্রমণ, যা রাসায়নিক বিরক্তির করনের কারণে হতে পারে। লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো প্রসাবে রক্ত আসে।
**কিডনি পাথর:অধিকাংশ মানুষেরই মূত্রনালীতে পাথর হয়ে থাকে। এই মূত্রনালীতে পাথর হওয়ার কারণেও প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে। কিডনি পাথরের কারণে তলপেটে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব, প্রস্রাবের সাথে রক্ত ইত্যাদির মত সমস্যা দেখা দেয়।
আপনারাদের যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয় করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আরো পড়ুন:শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ?
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়
প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমবেশি সকলের হয়ে থাকে এটির অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। মূলত এটি কোন রোগ নয়, এটি হলো একটি উপসর্গ, তবে এটি থেকে বাঁচাতে হলে বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে তা আলোচনা করা হলো:
**প্রচুর পানি পান করুন:যেহেতু এই সমস্যাটি পানির কারণে হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই এই সংক্রমণ থেকে হলে বাঁচতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং তা অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি হতে হবে।
**প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া উচিত:শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা বেক্টেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে,তাই অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে।
**গরম চাপ:যদি দেখেন আপনার প্রসাবে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে গরম চাপ দিতে পারেন। এজন্য হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন, অথবা কোন কাপড়ের গরম তাপ তার ব্যবহার করতে পারেন। পাঁচ মিনিট তলপেটে আপনি ধরে রাখুন, এভাবে কয়েক বার করুন।
**দই:আমরা অনেকেই দুই খেয়ে থাকি, কিন্তু আমরা জানি না যে এই দই তে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী খনিজ হয়েছে। যা আমাদের শরীরের ভিক্টোরিয়া ধ্বংস করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রসাব এর জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ দই খেতে পারেন।
**পানিশূন্যতা দূরিভূত: প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি রায় হলো ফানি শূন্যতা দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী আমি পান না করলে খুব দ্রুত ইংরেজি হয়ে যায় ফলে প্রস্তাবে ইনফেকশন তৈরি হয় তাই দৈনিক পান করলে খুব সহজে জ্বালাপোড়া দূর হবে।
**হাইড্রেটেড থাকুন: প্রসাব এ জ্বালাপোড়া ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে, অবশ্যই আপনাকে থাকতে হবে এবং প্রসাবের জ্বালাপোড়া ডিহাইড্রেশনের কারণেও হতে পারে তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
**সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশা:আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার সঙ্গিনীর প্রসাব এ ইনফেকশন আছে কিনা পরীক্ষা করে নিবেন। যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটিতে নআপনি ও আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব:পুরুষাঙ্গে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
১)পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়?
উত্তরঃ প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমবেশি সকলের হয়ে থাকে এটির অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে।
২)পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়?
উত্তরঃ তবে এটি থেকে বাঁচাতে হলে বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে তা হলো,বেশি বেশি পানি পান করা ,ডিহাইড্রেড থাকা,অতিরিক্ত গরম এড়িয়ে চলা।
৩)প্রসাবে জ্বালাপোড়া লক্ষণ গুলো কি কি ?
উত্তরঃ প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়া, রাতে বার বার প্রস্রাবের বেগ হওয়া, অস্বাভাবিক গন্ধযুক্ত বা ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া, তলপেটে ব্যাথা হওয়া।
৪)ইউরিন ইনফেকশন কী?
উত্তরঃমূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্রমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্রমণ বলে। ডাক্তারি ভাষায় একে 'ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন ' বা ' ইউটিআই ' বলা হয়।
৫)নকটারিয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ দুটি কারণে নকটারিয়া দেখা দিতে পারে। একটি হচ্ছে মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে মূত্র উৎপাদন বেড়ে যাওয়া। এই অবস্থাকে পলিইউরিয়া বলা হয়।
পোস্ট টেগ :পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয়,পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ,পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়,পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়,প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ,ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা,ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া এর চিকিৎসা,
উপসংহার: পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় এবং কি কারণে হয় এর সকল বিস্তারিত আমি আজকের এই পোস্টে তুলে ধরেছি। আমি আশা করি আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর আজকে এই পোস্টে পেয়ে যাবেন, যদি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।