শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ?
শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম :অনেকে আছেন যারা তাদের শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়াইয়ে থাকেন, তারা অনেকে জানে না এই সিরাপ খাওয়ার নিয়ম। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে খেলে শিশুদের আমিষ এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।
শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
বিশেষ করে যে সকল বাচ্চাদের খাওয়া অরুচি খেতে চায় না, ঐ সকল বাচ্চাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এই জিংক বি সিরাপ দিয়ে থাকেন। এটি খুবই পরিচিত একটি সিরাপ এছাড়াও অনেক বাচ্চারা আছে যারা পাতলা পায়খানা করে একদমই দুর্বল হয়ে যায়। এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত জিংক বের হয়ে যায় সেই সকল জিংক এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই জিংক বি সিরাপ শিশুদেরকে দিয়ে থাকে। এটি শরীল এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্ষত নিরাময় রক্ত জমাট বাঁধা এবং দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই জিংক সিরাপ।
জিংক সিরাপ খেলে কি রুচি বাড়ে
যেহেতু শিশুদের শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করার জন্য জিংক বি সিরাপ চিকিৎসকগণ বাচ্চাদেরকে দিয়ে থাকেন। যাতে করে শিশুদের শরীর থেকে যে প্রয়োজনীয় জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মত বাচ্চাদেরকে এই সিরাপ খাওয়ালে জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়। তবে শুধু জিংক সিরাপ বাচ্চাদের মুখের রুচি বাড়ানোর ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় না, আরো অনেক ক্ষেত্রে এই জিংক বি ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি, মুখের ভিতর সংক্রম, ইত্যাদি দূর করার ক্ষেত্রেও এ জিন সিরাপ কাজ করে থাকে।
শিশুকে জিংক সিরাপ কখন দিতে হয়
শিশুদের শরীরে জিংকের ঘাটতি পূরণ করার জন্য এই জিংক বি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই সিরাপটি অধিকাংশ মায়েরা কিনে থাকেন, অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু বাচ্চাদেরকে দেখা যায় তারা খেতে চায় না এবং খাওয়ায় অনিহা এবং অরুচি ইত্যাদি সহ নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ ঐ সকল বাচ্ছাদের এই জিংক বি সিরাপ দিয়ে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে আলোচনা করা হলো:
**জিংকের ঘাটতি:শিশুদের শরীরে জিংক এর ঘাটতি পূরণ ও বিকাশে ক্ষেত্রে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও তর্কের নানা সমস্যা যদি আপনার বাচ্চার মধ্যে দেখে থাকেন সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই জিংক বি সিরাপ দিতে পারেন।
**ডায়রিয়া:অনেক সময় শিশুদের অতিরিক্ত ডায়রিয়ার ফলে তাদের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিংক তরল হয়ে শিশুদের পেট থেকে বের হয়ে আসে। সেই ক্ষেত্রে শিশু অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই তার শরীরের জিংকের ঘাটতি পূরণ করার জন্য জিংক বি সিরাপটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন।
**জ্বর:যে সকল শিশুরা জ্বরে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তাদের সুস্থের পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ তাদের শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য এই জিংক বি সিরাপ দিয়ে থাকেন।
**শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ:অনেক সময় দেখা যায় অধিকাংশ শিশুদের সর্দি, জ্বর, কাশি, এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগ হয়ে থাকে। এগুলোর একমাত্র কারণ হলো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, তাই এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ শিশুদের সিরাপ দিয়ে থাকেন।
শিশুদের বয়স অনুযায়ী চিকিৎসকগণ তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ডোজ দিয়ে থাকে, অনেক সময় দেখা যায় সিরাপ খাওয়ার সাথে বা খাওয়ার পরে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও যাদের ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়, সে ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাদের এই সিরাপ খাওয়াতে পারেন।
প্রতিদিন কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত
দিনে কতটুকু জিন সিরাপ খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে মূলত বাচ্চার বয়স ও ওজন এর উপর নির্ভর করে। সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল বাচ্চাদের ওজন ১০ কেজির নিচে ঐ সকল বাচ্চারা খাওয়ার পর ১ চামুচ করে দিনে ২ দিতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে প্রতিদিন সকালে খাওয়ার পর ১ চামুচ এবং রাতের বেলায় খাওয়ার পর ১ চামুচ জিংক সিরাপ দিতে হয় এবং যে সকল বাচ্চাদের ওজন ১০ কেজি ও ৩০ কেজি হলে ওই সকল বাচ্চাদের ভরা পেটে প্রতিদিন ২ চামুচ করে দিনে ৩ বার খাওয়াতে হয়। সাধারণত এক কথায় বলতে গেলে সকালের ১ চামুচ দুপুরের ১ চামুচ এবং রাতে ভরা পেটে ১ চামুচ মোট দিতে হয়, জিংক সিরাপ দুইটি বোতল এ পাওয়া যায় একটি হল ১৫০ মিলি আরেকটি হল ২০০ মিলি ১৫০ মিলি সিরাপ এর দাম ৩৫ টাকা এবং ২০০ মিলি সিরাপ দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা নিতে পারে ,তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দেওয়াটাই ভালো।
সর্দি হলে কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত
জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা আপনার বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সর্দি সংক্রমিত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে জিংক বি সিরাপ। জিংকের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল যা বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ নানা ধরণের কাজ করে থাকে। তবে সর্দি হলে জিংক খাওয়া উচিত কতটুকু সে বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে হলে অবশ্যই একজনের কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিসক এর পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ছাড়াও আপনি বাচ্চাকে খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিংক আপনি আপনার বাচ্চাকে দিতে পারেন। যেমন মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ জিংক রয়েছে। এছাড়াও সূর্যমুখীর বীজ, কাজুবাদাম, কিসমিস, কালো মরিচ, মাখন, ইত্যাদি জাতীয় খাবার এ ও প্রচুর পরিমাণ জিংক পাওয়া যায়। সর্দি হলে জিংক বি সিরাপের গুরুত্ব অপরিহার্য, কারণ সর্দি হলে বাচ্ছাদের জিংক বি সিরাপ খাওয়া উচিত। বিশেষ করেসর্দি হলে জিংক খাওয়ার জন্যসর্দি হলে জিংক খাওয়া উচিত কিনা সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। জিংক একটি মিনারেল যা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। সর্দি হলে জিংক খাওয়া সহজেই সর্দির সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক বি সিরাপ কতটুকু খাওয়া উচিত সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া।
শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা
শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ানোর ফলে বেশ কিছু উপকার রয়েছে নিচেটা আলোচনা করা হলো।
** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:সাধারণত জিংক বি সিরাপ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো অধিক ন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া ও এটি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন সংক্রান্ত বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকেন।
**ক্ষত সারানো:জিংক বি সিরাপ এ প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও মিনারেল রয়েছে, যা তর্কের কোষের বৃদ্ধিতে এবং পূর্ণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং দ্রুত যেকোনো ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে।
**বৃদ্ধি ও বিকাশ: জিংক বি সিরাপ শিশুদের শরীরের মাংস ও হাড় কে মজবুত করতে সহজ করে ও মস্তিষ্কে সঠিকভাবে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া ও এটি মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
**ডায়রিয়ার চিকিৎসা:অধিকাংশ শিশুদের দেখা যায়,ডায়রিয়া হওয়ার ফলে তাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত জিংক বের হয়ে আসে, তাই এই জিংক বি সিরাপ ডায়রিয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
**মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা: যে সকল শিশুদেরমেধা বিকাশ কম এবং সহজেই কোন কিছু করতে পারে না। ওই সকল শিশুদের মস্তিষ্কের যোগাযোগ এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।
**অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব:জিংক বি সিরাপ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে।
**দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা:জিংক বি সিরাপ চোখের রেটিনাতে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
**অ্যালার্জির লক্ষণগুলি হ্রাস করা: এই জিংক বি সিরাপ রক্তের মধ্যে জমে থাকা বিভিন্নধরণের এলার্জিজনিত ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে থাকে এবং এনার্জি দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, শিশুদের জিংকবি সিরাপ খাওয়ানোর আগে বিশেষ করে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে ওষুধ খাওয়াতে হবে। কারণ এই সিরাপের বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার ফলে আপনার শিশুর বমি বমি ভাব পেট খারাপ ইত্যাদির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব:শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো?
১)জিংক বি সিরাপ খেলে কি শিশুদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়?
উত্তর :বিশেষ করে এলোপ্যাথিক ওষুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই আপনার শিশুকে এই সিরাপ দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াতে হবে।
২)এই সিরাপ কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে?
উত্তরঃ জি অবশ্যই করে, কারণ এটিতে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও মিনারেল রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে থাকে।
৩)সর্দি হলে কতটুকু জিংক বি সিরাপ বেসিরা শিশুরা খেতে পারবে?
উত্তরঃ যেহেতু প্রতিটি এলোপ্যাথিক ঔষধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে সর্দি হলে কতটুকু ওষুধ সেবন করতে হবে। সে বিষয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
৪)জিংক সিরাপ খেলে শিশুর রুচি বাড়ে?
উত্তরঃ যেহেতু শিশুদের শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করার জন্য জিংক বি সিরাপ চিকিৎসকগণ বাচ্চাদেরকে দিয়ে থাকেন। যাতে করে শিশুদের শরীর থেকে যে প্রয়োজনীয় জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মত বাচ্চাদেরকে এই সিরাপ খাওয়ালে জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়।
পোস্ট টেগ :শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত,সর্দি হলে কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত,শিশুকে জিংক সিরাপ কখন দিতে হয়,জিংক সিরাপ খেলে কি রুচি বাড়ে,Xinc Syrup এর কাজ কি,বেবি জিংক সিরাপ বাংলাদেশ,জিংক সিরাপ এর ডোজ,শিশুদের জিংক সিরাপ এর উপকারিতা,জিংক সিরাপ এর কার্যকারিতা,
উপসংহার: পরিশেষে জানতে পারলাম শিশুদের জিংক বি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এবং কখন কোন সময় শিশুদের এই সিরাপ খাওয়াতে হবে। আমি আশা করি আমার এই পোস্টি তে আপনাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন,আমার এই পোস্টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।