শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ?

 শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ:বর্তমান সময়ে পুরুষদের অন্যতম  একটি রোগ হলো শুক্রানু কমে যাওয়া, এবং কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলা।  কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কি খেলে এই শুক্রাণু বৃদ্ধি করা যায়, তাই আজকের এই আর্টিকেলে  আমরা জানবো কোন এলোপ্যাথিক ঔষধ খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। 


শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ


                             শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ


বিশেষ করে শুক্রানু  বৃদ্ধি অন্যতম উপায় হলো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা, মাদকের দ্রব্য ও  ধূমপান পরিত্যাগ করা, দুশ্চিন্তা, পযাপ্ত ঘুমান  না হওয়া ইত্যাদি।  ঠিকমতো নিয়ম  মেনে চললে এবং বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে এগুলো সঠিক উপায়ে সেবন এর মাধ্যমে দ্রুত বীর্যপাত বা ফাতলা  হয়ে যাওয়া সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।  শতকরা ৮০ ভাগ লোকেই  এই সমস্যায় ভুগছেন, পুরুষের নানা কারণে  শুক্রাণু কমে যায় যার ফলে সন্তানর জর্ম্মদানে   অক্ষমতা ও  অধিক সহবাসের সময় কমে আসে।শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে এলোপ্যাথিক ওষুধে বিকল্প নেই কেননা সঠিক উপায়ে এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে মাধ্যমে যে সমস্ত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  




                             শুক্রাণু বৃদ্ধি এলোপ্যাথিকওষুধ নাম


বিশেষ করে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এবং অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর  ফলে অনেকের বীর্য পাতলা হয়ে যায়, যার ফলে শুক্রাণ কমে আসে এবং নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।এটি একটি  মারাত্মক সমস্যার। এই  সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বর্তমানে এলোপ্যাথিক ওষুধের গুরুত্ব অনেক বেশি . কেননা বর্তমানে সময় বাজারে অনেক  ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, তার মধ্যে মিস মি ২ পিস্ এটি উন্নত মানের একটি মেডিসিন এটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই না ফলে খুব দ্রুত আপনার বীর্য গাঢ় হবে এবং সময় অধিক হার বৃদ্ধি করে থাকে .শুক্রাণু বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এমন কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হল:


**ক্লোমিফেন সাইট্রেট:এই ওষুধটি কাজ হলো  শুক্রানু  উৎপাদন করা, এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে অধিক সাহায্য করে থাকে এই ক্লোমিফেন সাইট্রেট ঔষুধ। 

**লেটিনাইজিং হরমোন :যাদের শুক্রাণু পাতলা এবং শরীর অক্ষম কেবলমাত্র তারাই এই ইনজেকশন গ্রহণ করতে পারে। 

**অ্যান্টিবায়োটিক:অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের শুক্রাণু তে  সংক্রামক হওয়ার কারণে শুক্রানু কমে যায় এবং পাতলা হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করতে পারেন। 

**সার্জারি: অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশেষত্ব চিকিৎসকগণ, বিভিন্ন চিকিৎসা করার পর দেখতে পায় তাদের  শুক্রানুতে অতিরিক্ত সংক্রমন  হওয়ার কারণে তাদের সার্জারি প্রয়োজন পড়ে। 



শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ



                                শুক্রানু বৃদ্ধিতে এন্টিবায়োটিক ঔষধ


কেন বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কোন ওষুধটি সবচেয়ে ভালো এবং একজন বিশেষজ্ঞ ও যোগ্যতা সম্পন্ন  এলোপ্যাথিক চিকিসক এর  সাথে পরামর্শ করে, রোগের বিভিন্ন উপসর্গ  ও লক্ষণ উপর নির্ভর করে ওষুধ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।  বেশ কিছু  এলোপ্যাথিক ওষুধের বিবরণ নিচে দেওয়া হল:

**অ্যান্টিবায়োটিক:সাধারণত এন্টিবায়োটিক, এটি সবাই চিনে থাকে মূলত যাদের নরমাল মেডিসিনে কাজ না  হওয়ার ফলে, যখন তাদের  সংক্রমণ বেড়ে যায়।  সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকগণ এন্টিবায়োটিক রোগীদেরকে দিয়ে থাকেন।  সেক্ষেত্রে শুক্রানু বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক্স রয়েছে যা শুক্রাণু বৃদ্দিতে অনেক গুরুত্ব পুন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। 

**প্রদাহ বিরোধী ওষুধ:অতিরিক্ত টেনশন ও মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে অনেকের শুক্রানু কমে যায়।  এতে করে মানসিক ও শারীরিক অশান্তি শুরু হয়, সে ক্ষেত্রে প্রদাহবিরোধী ওষুধ গুলো সেগুলোর ফলে শুক্রানু বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। 

**হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি:শুক্রাণু বিভিন্ন কারণে কমতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক রোগ  নির্ণয় করুন।  এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপী রয়েছে এটির মাধ্যমে ও টেস্টোস্টেরন মাত্রা বৃদ্ধি করা যায়। 

**ফার্টিলিটি ওষুধ: এটি উন্নত মানের একটি মেডিসিন এটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই না ফলে খুব দ্রুত আপনার বীর্য গাঢ় হবে এবং সময় অধিক হার বৃদ্ধি করে থাকে। 


সব এলোপ্যাথিক ওষুধেই পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারে না, সে ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধের সেবন মাধ্যমে এই রোগ থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়। 



                                    শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়


শুক্রানু বৃদ্ধির বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল:


**স্বাস্থ্যকর খাদ্য:শুক্রাণু বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হলো,  স্বাস্থ্যকর খাদ্যে গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের শুক্রাণু পরিমাণ অধিকাংশ বৃদ্ধি করতে পারি, যেমন শাকসবজি, বাদাম বীজ, এবং শস্যসমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি। 

**নিয়মিত ব্যায়াম:সাধারণত নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শুক্রাণু বৃদ্ধি করা যায় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের থেরাপি রয়েছে বেড়াতে যাওয়ার মাধ্যমেও এর সংখ্যা বাড়ানো যায়। 

**পর্যাপ্ত ঘুম:সাধারণত একজন সুস্থ মানুষ কে দৈনিক আধঘন্টা ঘুমাতে হয়, এতে করে  মন এবং শরীর দুটোয় টাই ভালো থাকে যার ফলে   শুক্রানো অনেক গুন্ বেড়ে যায়। 

**মানসিক চাপ কমান:বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকে, বিশেষ করে যারা  সংসার জীবন অতিবাহিত করছে তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।  তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষ মানুষিক  চাপে বুগে  থাকে তাই শুক্রাণু বৃদ্দি করতে হলে অবশই মানসিক চাপ কমাতে হবে। 

**গরম এড়িয়ে চলুন: যারা প্রতিনিয়ত গরমের মধ্য থেকে থাকে এবং অতিরিক্ত মোবাইল এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করার ফলে তাদের শুক্রাণু পরিমাণ অনেক কমে যায়, তাই অবশ্যই গরম পরিহার করুন। 

**অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: শুক্রাণু পরিমান বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেমন আখরোট, বাদাম, ডাক চকলে,ট ক্যানবেরি, ইত্যাদি খাদ্য খাবার মাধ্যমে শুক্রাণুর পরিমান  বৃদ্ধি করা যায়। 

**ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার: শুক্রাণু বৃদ্ধির আরেকটি অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন ডি  সমৃদ্ধ খাবার, এই খাবার  খাওয়ার ফলে শুক্রাণুর  পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে যায়।  যেমন ডিমের কুসুম,দুগ্ধজাত খাবার  শুক্রানু বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

**জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে  জিংক সমৃদ্ধ  খাবার  এর বিকল্প অপরিসীম, কেননা এই খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের শুক্রানুর পরিমাণ 90% বেড়ে যায়।  যেমন লাল শাক, লাল মাংস, বাদাম, শাকসবজির ইত্যাদি। 


এগুলো ছাড়াও আরো বিশেষ ধরনের কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে আপনার রোগ নির্ণয় করে কোন ব্যায়াম আপনার জন্য প্রয়োজন। সে অনুযায়ী সঠিকভাবে ব্যায়াম করার মাধ্যমে শুক্রাণু পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। 


শুক্রাণু বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ



প্রশ্নোত্তর পর্ব:শুক্রাণু বৃদ্ধিতে বেশ কিছু প্রশ্ন ও এর উত্তর আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো। 


১)বীর্য গাঢ় করার ঔষধ কী?

উত্তরঃমিস মি ২ পিস্ এটি উন্নত মানের একটি মেডিসিন এটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই না ফলে খুব দ্রুত আপনার বীর্য গাঢ় হবে এবং সময় অধিক হার বৃদ্ধি করে থাকে। 

২)দ্রুত পতন রোধে এই ঔষুধ সেবন করতে পারেন?

উত্তরঃ পায়খানা ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে আগে সেটির চিকিৎসা করুন অন্যথায় Zince সেবনে বমি বমি ভাব আসতে পারে,এই ওষুধগুলো অন্তত ১৫ দিন খেতে হবে। 

৩)শুক্রাণু বৃদ্ধির কোন এলোপ্যাতিক ঔষধ আছে?

উত্তর:জি আছে। 

৪)প্রাকৃতিকভাবে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর উপায়?

উত্তর :বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি বৃদ্ধি করতে পারেন যেমন মাকা রুট, অসগন্ধা, রসুন, বেয়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, ইত্যাদি। 

৫)কম শুক্রানুর কারণ কি?

উত্তরঃ অনেক কারণে শুক্রাণু কমে যেতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো দুশ্চিন্তা, মাদকদ্রব্য সেবন এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করা কারণে শুক্রাণু কমে যায়। 



উপসংহার: পরিশেষে আমরা জানতে পারলাম, কি কারণে শুক্রাণুর  পরিমাণ কমে যায় এবং কি করলে শুক্রাণর পরিমান  বৃদ্ধি পায়  সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য আজকে এই পোস্টে আমি তুলে ধরেছি। আমি আশা করি আপনি প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের  মধ্যে পেয়ে যাবেন, যদি আমারে পোস্টে আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url